বাজারে এসে গেল N95 মাস্কের প্রতিদ্বন্দ্বী iMASC রিইউজেবল মাস্ক!

0
624

MIT এবং Brigham and Women’s Hospital-এর গবেষকরা অবশেষে বর্তমান অতিমারী পরিস্থিতিতে মাস্ক উৎপাদনের ঘাটতির সমস্যার সমাধান হিসাবে হাজির করলো N95 মাস্কের গুণবিশিষ্ট iMASC মাস্ক।এই উন্নতমানের মাস্কে আছে N95 মাস্কের মতোই এক্সহলেশন ভাল্ভ।তবে এই মাস্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এটি পূনর্ব্যবহার যোগ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে গবেষকদের এই অভিনব iMASC মাস্ক বিশ্বের এই করোনা ভাইরাস দ্বারা ঘটিত অতিমারী পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।

iMASC মাস্কটি সিলিকন দ্বারা নির্মিত এবং এই মাস্কে দুটি বিশেষ স্লটের উপস্থিতি বর্তমান যেখানে N95-এর ফিল্টার (যা সবরকম ধূলিকণা ও জলকনাকে প্রবেশ করা থেকে রুখতে সক্ষম) প্রয়োজন মতো ঢোকানো এবং বের করা যাবে।মাস্ক-এ এই ফিল্টার গুলো খুলে মাস্কটি স্যানিটাইজ করে নিলেই সেটি আবার পূনর্ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠবে।

মাস্কটি স্যানিটাইজ করার ক্ষেত্রেও বিশেষ ঝামেলা পোহাতে হবে না ব্যবহারকারীদের।মাস্কটি পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন পড়ে না যেমনটা প্রয়োজন পড়তো N95 মাস্ক পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে। iMASC মাস্ক যার পুরো নাম হল ‘Injection Molded Autoclavable, Scalable, Conformable’ মাস্ক, এটি পরিষ্কার করতে গরম জলে ধোয়া , ব্লিচ দিয়ে পরিষ্কার করা কিংবা রাবিং অ্যালকোহল ব্যবহার করে পরিষ্কার করলেই এটির ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসগুলো নষ্ট হয়ে যাবে এবং এটি আবার ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠবে।

আশা করা যাচ্ছে এই নতুন মাস্কের আবির্ভাব  N95 মাস্কের ঘাটতির সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করবে।এই অতিমারীর পরিস্থিতিতে N95 মাস্কের চাহিদা ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।ফলতই যারা এই করোনা যুদ্ধের প্রথমসারির যোদ্ধা অর্থাৎ ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য হেলথকেয়ার স্টাফদের জন্য N95 মাস্কের ঘাটতি ভীষণভাবে দেখা দিচ্ছে।এমনকি যেই মাস্ক একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া উচিত সেই মাস্ককেই তাদের বার বার পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হচ্ছে যা তাদের জন্য একেবারেই সুরক্ষিত নয়।

এই নতুন iMASC মাস্ক এই সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হবে।এই মাস্ক শুধু হেলথকেয়ার কর্মীদের নয় জনগনের কাছেও N95 মাস্কের বিকল্প হিসাবে দেখা দেবে।এরফলে আশা করা যাচ্ছে এই করোনা পরিস্থিতির প্রথমসারির যোদ্ধাদের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় N95 মাস্ক যথেষ্ট পরিমানে সরবরাহ করা যাবে এবং এই ঘাটতির সমস্যা কমবে।এছাড়াও এই মাস্ক-এর বাজার মূল্য N95 মাস্কের তুলনায় অনেক কম হবে।

iMASC মাস্কের বাজারে আসার আগে আরও অনেকগুলো পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে এই মাস্ককে।যাতে মানুষের হাতে এই মাস্ক পরার আগে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় যাতে এই মাস্ক মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত।তবে এই মাস্ক বাজারে এলে এটি N95 মাস্কের একটি সঠিক প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে গন্য হবে।

আপনার কি মনে হয়?আপনার মতামত অবশ্যই আমাদের জানান কমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে এবং লাইক ও শেয়ার করে পোস্টটিকে ছড়িয়ে দিন সকলের মাঝে।উচ্চশিক্ষা সম্বন্ধিত আরও খবর জানতে চোখ রাখুন টুকিটেকের ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। 

Leave a Reply