আপনার কম্পিউটারকে কীভাবে বাঁচাবেন mass ভাইরাসের হাত থেকে?জেনে নিন উত্তর!

0
402
mass ভাইরাসের হাত থেকে আপনার কম্পিউটারকে কীভাবে বাঁচাবেন ?

Mass ভাইরাস হল একধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার, Djvu নামক Ransomware পরিবারেরই একটি সদস্য এই ভাইরাস।মাইকেল গিলেসপি প্রথম এই ভাইরাস সফটওয়্যারটিকে চিহ্নিত করেন।

কম্পিউটার mass ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে কিনা বোঝার উপায়

এই ভাইরাস কোনো ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে একবার ঢুকে গেলে সেটি ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য কম্পিউটার থেকে এনক্রিপটেড করে নেয় এবং সেই তথ্যগুলো ডিক্রিপটেড করার টুলস দেওয়ার নাম করে ব্যবহারকারীর থেকে অর্থ দাবী করে।এই ransomwareটি যেহেতু তথ্য এনিক্রিপট করে তাই এই ভাইরাস যেই ফাইলগুলোকে আক্রান্ত করে তাদের নামের সাথে “.mass”  এক্সটেনশন জুড়ে যায়।উদাহরণস্বরুপ বলা যায় একটি ফাইলের নাম যদি “tukitech.jpg” হয়, সেটি mass ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর হয়ে যাবে “tukitech.jpg.mass”।যখন এই প্রক্রিয়াটি শেষ হয়ে যাবে তখন একটি মুক্তিপণ দাবীর মেসেজ আসবে টেক্সট ফাইলে-নাম _readme.txt”।   

এই মুক্তিপণ দাবীর মেসেজে ব্যবহারকারীকে জানানো হয় যে তার সমস্ত তথ্য এনক্রিপটেড করে নেওয়া হয়েছে শক্তিশালী এনক্রিপশন এবং বিশেষ টুলসের মাধ্যমে।এই মেসেজে এটিও বলা থাকে যে এনক্রিপটেড ফাইলগুলো আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব এই ransomware আক্রমনের জন্য দায়ী ওই সাইবার ক্রিমিনালের কাছ থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ফাইল ডিক্রিপটেড করার টুলস কেনার মাধ্যমে।

কোন কোন উপায়ে ransomware কম্পিউটারকে আক্রান্ত করতে পারে?

Ransomware এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক ভাইরাস বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহারকারীর অজান্তেই ঢুকে পড়ে কম্পিউটারে।

  • Trojans এর মাধ্যমে কম্পিউটারে হানা দিতে পারে সাংঘাতিক ভাইরাসেরা। Trojans হল একধরনের ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম malware ইনস্টলেশনে মাধ্যমে কম্পিউটারকে আক্রান্ত করে।
  • অনেক সময় ইমেলের মাধ্যমেও কম্পিউটারে হতে পারে ভাইরাস হানা, একে বলে spam campaigns।সাধারণত ভাইরাস যুক্ত ইমেলগুলো চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য নামের সাথে “Important”, “Official”, “Priority”-এই শব্দগুলি ব্যবহার করে থাকে।
  • অবৈধ অ্যাক্টিভেশন টুলসের মাধ্যমে হতে পারে ভাইরাসের আক্রমণ।
  • নকল ডাউনলোড চ্যানেল এবং অবৈধ আপডেটারদের থেকেও সাবধান থাকা জরুরি।
  • অবিশ্বাসযোগ্য কোনো সোর্স থেকে কোনো ফাইল ডাউনলোড করার মাধ্যমেও কম্পিউটারে ঢুকে যেতে পারে ক্ষতিকারক ভাইরাস।
  • এছাড়াও থার্ড পার্টি ডাউনলোডার যেমন বিটটোরেন্ট, ইমিউল ইত্যাদি ব্যবহার করলে তার মাধ্যমেও ভাইরাস আক্রমনের আশঙ্কা থেকে যায়।

কীভাবে নিজের কম্পিউটারকে mass ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাবেন?

কিছু কিছু নিয়ম মেনে চললে অবশ্যই mass ভাইরাসের হাত থেকে কম্পিউটারকে বাঁচানো সম্ভব হয়।

  • কখনোই সন্দেহজনক কিংবা অপ্রাসঙ্গিক ইমেল খোলা উচিত নয়।
  • কোনো ধরনের সন্দেহজনক অ্যাটাচমেন্ট বা লিঙ্ক-এ কখনোই ক্লিক করা উচিত নয়।
  • সবসময় বৈধ এবং ভেরিফায়েড চ্যানেল থেকেই ফাইল ডাউনলোড করা উচিত।
  • বৈধ ডেভেলপারদের মাধ্যমেই একমাত্র সিস্টেম আপডেট করা উচিত।
  • কোনো রকম থার্ড পার্টি ডাউনলোডার ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে সবসময়ই একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা উচিত।
  • মাঝে মধ্যেই ভাইরাস চেকের জন্য সিস্টেম স্ক্যান করা উচিত।

** আর কম্পিউটার যদি ইতিমধ্যেই mass ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে অবশ্যই Malwarebytes for Windows-এর মাধ্যমে কম্পিউটারকে স্ক্যান করা উচিত, এটি এই ransomwareকে অটোমেটিক্যালি ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

আজকের এই পোস্টটি টুকিটেকের একজন User এর সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে পোস্ট করা হল।আশা করছি mass ভাইরাস এবং আরও অন্যান্য ক্ষতিকারক ভাইরাসের হাত থেকে নিজের কম্পিউটার এবং ব্যক্তিগত তথ্যকে বাঁচাতে ওপরের এই বিষয়গুলি মেনে চললে অবশ্যই উপকার পাবেন।

আরও পড়ুনঃ ১১টি দূর্দান্ত স্টার্টআপ আইডিয়া নামমাত্র বিনিয়োগে!

Leave a Reply